আজকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন যে,আগামীকাল রবিবার থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত ১৫ দিন জারি থাকবে এই লকডাউন।দিন দিন যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে এরকম সিদ্ধান্ত না নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই রাজ্য সরকারের বললেই চলে।
আজকে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন যে কি কি খোলা থাকবে এই ১৫ দিন ও কি কি বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ দিন জরুরি দরকার ছাড়া বাইরে বেড়ানো নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাত ৯ টা থেকে পরের দিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিনা কারনে বাইরে বেড়ানো সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়েছে।
৩০ মে পর্যন্ত লকডাউনে কি কি খোলা থাকবে?
১) আদালত,কারাগার খোলা থাকবে পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ,রান্নার গ্যাস,পানিয় জল,সাফাই,পেট্রোল পাম্প, সংবাদমাধ্যম, গাড়ির যন্ত্রাংশ ইত্যাদি জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে।
২) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টি ও মাংসের দোকান।
৩) গয়না ও শাড়ির দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত।
৪) সৎকার করতে হবে ২০ জন লোক নিয়ে তার বেশি না।
৫) ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
৬) ATM মেশিন খোলা থাকবে।
৭) মুদিখানা ও হাট-বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত।
৮) খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া যাবে ( Home Delivery)
৯) অনলাইন কেনাকা ও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় ছাড় রয়েছে।
১০) স্বাস্থ্য সরঞ্জামের মতো পন্য বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
১১) চা বাগান খোলা যাবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে।
১২) চটকল খোলা রাখা যাবে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে।
১৩) ই-কমার্স ও রান্নার গ্যাস বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ছাড় রয়েছে।
১৪) বিবাহ অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক থাকা যাবে না।
১৫) জরুরি পরিষেবার জন্য কর্মীদের জন্য চালু থাকবে পরিবহন ব্যবস্থা।
১৬) হসপিটাল, সংবাদমাধ্যমের অফিস,বিমান বন্দরে যাওয়ার জন্য পরিবহন চলবে।
৭) জরুরি পরিষেবা সাথে যুক্ত ছাড়া সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
৮) লোকে ট্রেন বন্ধ থাকবে রাজ্যে।
৯) মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে।
১০) বাস ও ফেরি পরিষেবাও সম্পূর্ন বন্ধ থাকবে।
১১) বন্ধ থাকবে অন্তংরাজ্য ট্রাক চলাচল।
১২) শপিং কমপ্লেক্স, মল, বাজার, স্পা, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, সুইমিং পুল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
১৩) পার্ক, চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধিনিষেধ না মানলে মহামারী আইনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।