ঢাকা : বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
এই ঘোষণা এসেছে শনিবার সন্ধ্যায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানের নেতাদের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
এটি প্রথমবার নয়। এর আগে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এমন নিষেধাজ্ঞা এলো।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন রক্তাক্ত হয়ে ওঠার পর দেশজুড়ে সহিংসতা শুরু হয়।
জাতিসংঘের মতে, তাতে ১৩২ জন শিশু সহ ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনও সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।
এর আগেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার প্রধান দল আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা হলো।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আইসিটি আইন সংশোধন করে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলির বিচারও করা যাবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে।
https://www.facebook.com/share/p/192twPBEW2/