এগিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এর তথ্যের ভিত্তিতে নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানালেন, জাপানকে টপকে এখন ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
শনিবার নীতি আয়োগের দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,
“ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ইতিবাচক। আমরা এখন ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছি।”
তিনি আরও জানান, জিডিপির ভিত্তিতে জাপানকেও টপকে গেছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি এখনও যুক্তরাষ্ট্র, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের চেয়েও দেড় গুণ বড়। তবে ভারতের এই অগ্রগতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মঞ্চে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সেই ১৯৬০ সাল থেকেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মুকুট পরে আছে। গত ৬৫ বছরে শীর্ষ ১০–২০ অর্থনীতির তালিকায় বিভিন্ন দেশের উত্থান–পতন ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে কোনো হেরফের ঘটেনি।
২০২৬ অর্থবছরে ভারতের নামমাত্র জিডিপি (Nominal GDP) হবে প্রায় ৪,১৮৭.০১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাপানের অনুমানিক ৪,১৮৬.৪৩১ বিলিয়ন ডলার-এর তুলনায় সামান্য বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারত ছিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি।
IMF জানিয়েছে, ভারত আগামী দুই বছরেও বিশ্বের দ্রুততম গতিতে বাড়তে থাকা বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখবে। ২০২৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.২% এবং ২০২৬ সালে ৬.৩%, যেখানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার একই সময়ে যথাক্রমে ২.৮% এবং ৩.০%-এ দাঁড়াবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “শুল্ক কী হবে তা এখনই বলা মুশকিল। তবে গতিশীলতার দিক থেকে ভারতেই সবচেয়ে সস্তায় উৎপাদন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন।