আসামে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদ, গৃহহীন ১,৪০০ মুসলিম পরিবার

Ealiash Rahaman
WhatsApp_Group
সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করুন

আসাম সরকারের প্রস্তাবিত ৩,৪০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ধুবরি জেলার বিলাসিপাড়া এলাকার চারটি গ্রামে চালানো হলো রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ উচ্ছেদ অভিযান। অভিযানে প্রায় ১,৭০০ ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে গৃহহীন করা হয়েছে প্রায় ১,৪০০টি মুসলিম পরিবারকে, যাঁরা অধিকাংশই বাঙালি ভাষাভাষী মুসলিম। ৪ জুলাই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হঠাৎ করেই ঘোষণা করা হয় চাপার সার্কেলের চিরাকুটা, সান্তোষপুর ও চারুয়াবাখরা জঙ্গল ব্লক এলাকার জমি খালি করতে হবে। এরপর থেকেই উচ্ছেদের নোটিশ টাঙানো হয় গ্রামেগঞ্জে।

Join WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

৮ জুলাই সকাল থেকে শুরু হয় অভিযান ১০০-রও বেশি বুলডোজার, ৩,০০০-র বেশি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে পরপর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বহু বসতঘর। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কোনও বাস্তবসম্মত পুনর্বাসন ছাড়াই তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

উচ্ছেদের পরে পরিবারগুলিকে বলা হয়েছে ধুবরির বয়জের আলগা নামক নদীর চরাঞ্চলে গিয়ে থাকতে। তবে স্থানীয়দের দাবি, তাদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলেছেন, তাদের অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে বাঁচব? এই চর এলাকায় নেই সড়ক, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ কিংবা বন্যার কোনও প্রতিরোধ ব্যবস্থা। বর্ষাকালে অঞ্চলটি জলমগ্ন থাকে। অভিযোগকারীর মতে, সরকার তো আমাদের নদীর মধ্যে পাঠাতে চাইছে।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর সংযোগ রয়েছে। ২২ এপ্রিল আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি জিত আদানি এলাকা পরিদর্শনে আসেন। পরে ২৪ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিলাসিপাড়ায় সফর করলে, এরপর থেকেই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হয়।

কংগ্রেস নেতা গগৈ বলেন, এই উচ্ছেদ মুসলিমদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যা বিজেপির ভোট রাজনীতির অংশ।

এই অভিযানে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো স্থানীয়দের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে, যার ফলে কমপক্ষে তিনজন মহিলা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবার গৌহাটি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার শুনানি আগামী ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।