অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হওয়া অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৮ মে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় সেনার অভিযান ও দুই নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
হরিয়ানার এক বিজেপি যুব নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০ মে হরিয়ানা হাই কোর্ট তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। বুধবার সেই আবেদন গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত তাঁকে জামিন মঞ্জুর করে।
জামিনের শর্ত হিসেবে আদালত জানিয়েছে, অধ্যাপক মাহমুদাবাদ মামলার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য, পোস্ট বা কিছু লিখতে পারবে না। ভারতীয় মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা কিংবা প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পদক্ষেপ নিয়ে কোনও মতামত প্রকাশ থেকেও বিরত থাকতে হবে। তাঁকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে, তবে শব্দচয়নের দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি। পাশাপাশি আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অন্তত তিনজন আইপিএস ও একজন মহিলা আধিকারিক থাকবেন। এই টিমে হরিয়ানা বা দিল্লির কোনও অফিসার থাকতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মাহমুদাবাদ তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন “নারী সেনা কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানানো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিজেপির ঘৃণানীতির শিকার সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবা উচিত।” তাঁর এই বক্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।