আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৩,৪২১টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি পূর্বে প্রকাশ করেছিল। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর হতে চলেছে।
প্রার্থী অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি অনুমোদিত প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই TET উত্তীর্ণ হতে হবে।
যদিও ২০১৭ সালের পর রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। চলতি বছর টেট পরীক্ষার বরাদ্দ নম্বরেও পরিবর্তন করাও হয়। পুরনো খসড়া বিধিতে টেটের নম্বর ছিল ৫, যা নতুন প্রস্তাবিত খসড়া বিধিতে বেড়ে ২৫ করা হয়েছে। তবে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড)-এর নম্বর কমে ৫ হয়েছে, যা আগে ১৫ ছিল।
পুরোনো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হবে। তার মধ্যে মাধ্যমিক-৫ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক-১০ নম্বর, এনসিটিই ট্রেনিং-১৫ নম্বর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)- ৫ নম্বর, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি- ৫নম্বর, সাক্ষাৎকার-৫নম্বর, অ্যাপটিটিউড টেস্টে-৫ নম্বর রয়েছে।
কারা আবেদন করতে পারবে
আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা এই শূন্যপদের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এছাড়া তফসিলি জাতি-জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে বয়সের ছাড়। আবেদনকারীদের স্নাতক ও প্রাইমারি এডুকেশনে ডিপ্লোমা-সহ হতে হবে টেট উত্তীর্ণ
এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, আগামীকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের অনলাইন পোর্টাল উন্মুক্ত করতে চলেছে, যেখানে TET উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা সরকার অনুমোদিত ও সরকার পৃষ্ঠপোষকতা-প্রাপ্ত প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়গুলিতে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন জানাতে সক্ষম হবেন।
রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রজ্ঞা, পথনির্দেশ ও সদর্থক অভিভাবকত্বে এই নিয়োেগ প্রক্রিয়া প্রাথমিক শিক্ষার ভিতকে আরও সুদৃঢ় করতে চলেছে—এ কথা বলাই বাহুল্য।















