Bangladesh News: বাংলাদেশে হিংসার তাণ্ডব ১০০ জনের মৃত্যু, দেশজুড়ে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ!
বাংলাদেশ: বাংলাদেশে সহিংস ছাত্র আন্দোলনে ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং দেশে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। গত রবিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সহিংস সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ, আধা সেনা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সাথে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ঢাকাসহ ১৪টি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় বহু মানুষকে সূত্র মতে যাদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগ নেতা কর্মী এই ঘটনাগুলির ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গুজব রোধ করতে ফেসবুক বন্ধ করা দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা এখন চালু আছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র আন্দোলন। গতরবিবার বিভিন্ন স্থানে গুলি চলার ফলে সরকারি তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা শতাধিক পৌঁছেছে। সংঘর্ষে ১৪ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
কেন এই আন্দোলন?
জুলাই মাসের গোড়া থেকে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, যা ১৫ জুলাই থেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। ছাত্ররা প্রথমে চাকরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে সাধারণ নাগরিকদের সমর্থনে আন্দোলনটি দেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম আন্দোলনে পরিণত হয়। ছাত্রলীগের সদস্যরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনের মুখে সরকার নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করে সহিংস দমন-পীড়ন চালায়। সহিংসতা সত্ত্বেও বিক্ষোভের তীব্রতা কমেনি। শনিবার রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য শহরে বিশাল জনসমাগম ঘটে।
আন্দোলনের সূত্রপাত:
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসে ৫৬% চাকরি কোটা ভিত্তিতে দেওয়া হয়, যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা অন্তর্ভুক্ত। বাকি ৪৪% চাকরি মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হয়। এই ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০% চাকরি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
বর্তমান পরিস্থিতি:
ছাত্র সংগঠনগুলো পূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এবং সরকারের পদত্যাগ চেয়ে ৪ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সারা দেশে কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা আবার করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করে তাদের কঠোরভাবে দমন করার কথা বলেছেন।
এই পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আন্দোলনকারীরা দেশের সাধারণ মানুষকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সরকার ও আওয়ামী লীগ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ তুলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে।