প্রকল্প

নভেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ২৫ টি প্রকল্পের কাজ, দেখুন কি কি

google_news
সব খবর মোবাইলে পেতে ফলো করুন গুগুল নিউজ

রাজ্য সরকার, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা ওয়ার্ড স্তরে আয়োজিত আউটরিচ ক্যাম্পের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট স্কিম পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। এটি রাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ, যা 30 দিনের মধ্যে বিস্তৃত।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এবছর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ২৫ টি প্রকল্পের লাভ পাওয়া যাবে। এই ২৫ টি প্রকল্পের জন্য কোথাও যেতে হবে না। সেখান থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে ফিলাপ করে ডকুমেন্টস সহকারে জমা করলেই হয়ে যাবে।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলবে। আপনার এলাকায় কবে কোথায় বসবে তা অনলাইন থেকেই চেক করতে পারবেন।

দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কবে কোথায় বসবে দেখুনঃ

১) প্রথমে আপনাকে দুয়ারে সরকার এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে।
২) এরপর Find Your Camp এ ক্লিক করুন।
৩) পরবর্তী পেজে জেলার নাম, ব্লক/মিউনিসিপালিটি এর নাম, অঞ্চল বা ওয়ার্ড এর নাম বসিয়ে সার্চ করুন।
৪) এরপর আপনার সামনে চলে আসবে সমস্ত ডিটেইলস। কবে কোথায় বসছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প।

Duare Sarkar Official Website Link:- Click

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যে সমস্ত প্রকল্পের লাভ পাবেন দেখুনঃ-

১) Khadya Sathi- Digital Ration Card:- যদি আপনার পরিবার রেশন কার্ড না থাকে তাহলে আবেদন করতে পারবেন। কিংবা ভুল সংশোধন করতে পারবেন, আধার কার্ড মোবাইল নাম্বার লিংক করতে পারবেন অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ডকুমেন্টসঃ– রেশন কার্ড, আধার কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।

সুবিধাঃ– রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলতে পারবেন।এছাড়াও রেশন কার্ড ঠিকানার প্রমান হিসাবে কাজে আসে।

২) Swasthya Sathi:- যদি আপনার পরিবারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকে, তাহলে নতুন করে ফর্ম ফিলাপ করে জমা করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন। কিংবা পরিবারের বাকি সদস্যদের নাম যুক্ত করার জন্যও ফর্ম পেয়ে যাবেন।

ডকুমেন্টসঃ– আধার কার্ড, রেশন কার্ড, মোবাইল নাম্বার।

সুবিধাঃ– স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে ৫ লক্ষ টাকা পাবেন চিকিৎসা করার জন্য। এছাড়াও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

৩) Caste Certificates for backward classes (Scheduled Castes/ Scheduled Tribes/Other Backward Classes):- জাতিগত শংসাপত্র আবপদন করতে পারবেন ও ফর্ম ফিলাপ করে জমা করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

ডকুমেন্টসঃ
ক) স্কুলের শংসাপত্র / অ্যাডমিট কার্ড সঠিক নামের বানানের জন্য।
খ) ভোটার /আধার কার্ড ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে।
গ) বাবার বংশের দিকে আত্মীয়ের জাতিগত শংসাপত্র এবং পারিবারিক বিবরণ। অন্য কোনো শংসাপত্র যা দিয়ে তিনি যে ঐ জাতি / সম্প্রদায়ভুক্ত তা প্রমাণ করা যায়।
ঘ) বিগত তিন বছরের আয়কর রিটার্ন / বেতনের প্রমাণ পত্র বা সমতুল কোনো শংসাপত্র (ওবিসি আবেদনকারীর জন্য)।
ঙ) যে কোনও সরকারি পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ব্যাঙ্কের পাশবই বা অন্য কোনো শংসাপত্র যাতে প্রমাণিত হয় যে আবেদনকারী এই রাজ্যের বাসিন্দা।
চ) আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ ফটো।

৪) Sikhashree স্কলারশিপঃ-

প্রকল্পটি কী:- তপশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের বছরে ৮০০ টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

কারা এই সুবিধা পাবে:

(ক) সরকারি সরকার পোষিত বা স্বীকৃতি প্রাপ্ত স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির তপশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র ছাত্রী।
খ) এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা।
গ) পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার নিচে।
ঘ) কেবলমাত্র ব্যাঙ্ক-এ একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
ঙ) অন্য কোনও স্কলারশিপ প্রাপক নয়।
চ) হোস্টেলে থাকে না।
ছ) পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে।

কী কী নথি লাগবে:

(ক) জাতিগত শংসাপত্র/ জাতির প্রমাণ।
খ) আয়ের প্রমাণ।
গ) ব্যাঙ্কের পাশবই।
ঘ) আবেদনকারীর পাসপোর্ট মাপের ছবি।

যোগাযোগ: নিজের স্কুলে আবেদন করতে হবে।

৫) Taposhili Bandhu৬) Jai Johar প্রকল্পঃ
০১/০৪/২০২০ থেকে আদিবাসী মানুষদের জন্য জয় জোহার এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষদের জন্য তপশিলি বন্ধু প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি মানুষদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়।

কারা আবেদন করবেন:

ক) আবেদনকারীকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
খ) আবেদনকারী সরকারি বা অন্য কোনও রকম সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে ভাতা পান না।
গ) নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
ঘ) আবেদনকারীকে তপশিলি জাতিভুক্ত বা আদিবাসী হতে হবে।
ঙ) আবেদনকারীকে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি হতে হবে।

কী নথি লাগবে:

ক) পাসপোর্ট মাপের ছবি।
খ) ডিজিটাল রেশন কার্ড।
গ) ভোটার কার্ড।
ঘ) ব্যাঙ্কের পাশবই।
ঙ) ঠিকানার যে কোনও স্বপ্রত্যয়িত প্রমাণপত্র।
চ) জাতিগত শংসাপত্র না থাকলে বাবার দিকের আত্মীয়ের জাতিগত শংসাপত্র।পরবর্তী সময়ে নিজের জাতিগত শংসাপত্র আবেদনকারীকে জমা দিতে হবে।

যোগাযোগ:
গ্রামীণ এলাকায় বিডিও অফিস, পৌর এলাকায় মহকুমাশাসক এবং কলকাতায় পুর এছাড়াও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।

৭) Kanyashree প্রকল্পঃ-

কন্যাশ্রী(K1): সরকার স্বীকৃত নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অষ্টম বা তার উপরের শ্রেণিতে পাঠরতা এবং ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সসীমার মধ্যে থাকা অবিবাহিতা মেয়েদের বার্ষিক ১০০০ টাকা হারে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

কন্যাশ্রী (K2): উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠরতা এবং আবেদন করার সময় ১৮ বছরের বেশি কিন্তু ১৯ বছরের কম বয়সের অবিবাহিতা মেয়েদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

যোগ্যতাঃ– যে কোনও মেয়ে, যে—-
ক) অবিবাহিতা।
খ) যার বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
গ) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
ঘ) সরকার স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে পাঠরতা।
ঙ) নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে।

যে সব নথি জমা দিতে হবে:

ক) বাবা-মা / আইনি অভিভাবকের ভোটার কার্ডের ফটোকপি।
খ) জন্যের শংসাপত্রের ফটোকপি।
গ) আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থার ঘোষণা।
ঘ) দরকারি তথ্য সহ ব্যাঙ্ক পাশবইয়ের ফটোকপি।
ঙ) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
চ) আবেদনকারী যদি ১৩ বছরের বেশি বয়সের হয় কিন্তু অষ্টম শ্রেণির নিচে পাঠরতা হয় এবং তার ৪০% বা তার বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের থেকে গৃহীত প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রের ফটোকপি।

যোগাযোগঃ– সর্বক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট ফর্ম নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল/কলেজ)-এ পাওয়া যায়। এছাড়াও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেও পাওয়া যাবে।

৮) Rupashree প্রকল্পঃ- এই রাজ্যের যেসব মেয়ের পারিবারিক আয় বছরে দেড় লক্ষ টাকার কম, তাঁরা শুধুমাত্র প্রথমবার বিবাহের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান পেতে পারেন।

কারা আবেদন করতে পারবেন:-

ক) অন্তত ১৮ বছর বয়সি যে কোনও অবিবাহিতা মেয়ে প্রথম বিবাহের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
খ) পাত্রের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে।
গ) এই রাজ্যে জন্ম হয়েছে বা বিগত ৫ বছর যাবৎ পশ্চিমবঙ্গে বাস করছে অথবা পিতা মাতা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা।
ঘ) পারিবারিক বার্ষিক আয় অনধিক ১.৫ লক্ষ টাকা হতে হবে।
ঙ) আবেদনকারীর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকবে যেখানে আই এফ এস কোড, এম আই সি আর কোড আছে।

যে সব নথি জমা দিতে হবে:-

ক) পারিবারিক আয়- স্বঘোষণা পত্র।
খ) আবেদনকারীর বয়সের প্রমাণপত্র জন্মের শংসাপত্রের ফটোকপি / ভোটার কার্ড/প্যান কার্ড/মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড / আধার কার্ড / সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয় শংসাপত্রের স্বপ্রত্যয়িত ফটোকপি।
গ) আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থার স্বঘোষণা পত্র।
ঘ) বসবাসের প্রমাণ- স্বঘোষণা পত্র
ঙ) ব্যাঙ্ক পাশবইয়ে আই এফ এস কোড, এম আই সি আর কোড সহ দরকারি তথ্য আছে সেই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
চ) আবেদনকারী ও পাত্রের রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ছ) প্রস্তাবিত বিয়ের প্রমাণ : বিবাহের নিমন্ত্রণ পত্র/ ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন নোটিশ / ঘোষণা
জ) প্রস্তাবিত পাত্রের বয়সের প্রমাণপত্রঃ- প্রস্তাবিত পাত্রের জন্মের শংসাপত্রের ফটোকপিঃ- ভোটার কার্ড/প্যান কার্ড/মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড/ আধার কার্ড / সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয় ছাড়ার শংসাপত্রের ফটোকপি।

যোগাযোগঃ
উপযুক্ত কাগজপত্র সহ স্থানীয় বিডিও অফিসে বা মহকুমাশাসকের অফিসে, পুর কমিশনারের অফিসে প্রস্তাবিত বিয়ের ৩০ থেকে ৬০ দিন আগে আবেদন করতে হবে।

৯) Manabik প্রকল্পঃ- বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের আর্থিক বিষয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত করা। এই প্রকল্পে তাদের মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়।

কারা এই সুবিধা পাবেনঃ
ক) বিশেষভাবে সক্ষম যেসব মানুষের প্রতিবন্ধকতার পরিমাণ ৪০ শতাংশ (চল্লিশ শতাংশ) বা তার বেশি।
খ) আবেদনকারীকে কমপক্ষে দশ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতে হবে।
গ) আবেদনকারীর বয়স দশ বছরের কম হলে জন্ম তারিখকে ভিত্তি ধরে বসবাসের সময় নির্ধারিত হবে।
ঘ) আবেদনকারী রাজ্য/কেন্দ্রীয় সরকার বা অন্য কোনও সূত্রে কোনও পেনশন পান না।

কী কী নথি প্রয়োজন:-

ক) ব্যাস্তের পাশবইয়ে আই এফ এস কোড, অ্যাকাউন্ট নং সহ দরকারি তথ্য সম্বলিত পৃষ্ঠার ফটোকপি।
খ) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত শংসাপত্র।
গ) রেশন কার্ড/ ভোটার কার্ড/ আধার কার্ডের স্বপ্নতায়িত ফটোকপি।
ঘ) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

যোগাযোগ:- গ্রামীণ এলাকায় বিডিও অফিস, শহরাঞ্চলে মহকুমাশাসকের অফিস, কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার জন্য কন্ট্রোলার অফ ভেগ্রান্সি অফিস (পূর্ত ভবন)।

১০) Lakshmi Bhandar:– এটি এই রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের প্রাপ্তবয়ষ্ক মহিলা সদস্যদের জন্য ন্যূনতম মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান প্রকল্প।

কারা এই সুবিধা পাবেন:
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি, এই রাজ্যের যে কোনও পরিবারের মহিলা সদস্য, কোনও সরকারি/সরকারি নিয়ন্ত্রাধীন সংস্থা বিধিবদ্ধ সংস্থা/পঞ্চায়েত পৌরনিগম/পৌরসভা/স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা/সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতিতে নিয়মিত কোনও চাকুরি থেকে মাসিক উপার্জন করেন না এইরূপ প্রত্যেক তপশিলি জাতি আদিবাসী জনজাতি পরিবারের মহিলা মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি আদিবাসী জনজাতি পরিবার ভিন্ন অন্য পরিবারের মহিলা সদস্য মাসিক ৫০০ টাকা সহায়তা পাবেন।

কী কী নথি লাগবে:-
ক) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এর প্রত্যয়িত ফটোকপি।
খ) আধার কার্ড-এর স্বপ্নতায়িত ফটোকপি।
গ) তপশিলি জাতি আদিবাসী জনজাতি শংসাপত্র-এর স্বপ্রত্যায়িত ফটোকপি।
ঘ) আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের পাশবইয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের ঠিকানা,আই এফ এস কোড এবং এম আই সি আর কোড সহ অন্যান্য দরকারি তথ্য সম্বলিত পৃষ্ঠার প্রত্যয়িত ফটোকপি।
ঙ) আবেদনকারীর পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো।

যথাযথভাবে স্বাক্ষরকরা আবেদনকারীর নিম্নলিখিত ঘোষণাপত্র:

ক) তিনি পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী।
খ) তিনি কোনও সরকারি/সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা/বিধিবন্ধ সংস্থা/পৌরসভা/ স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা/সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতিতে নিয়মিত কোনও চাকুরি থেকে মাসিক উপার্জন করেন না।
গ) আবেদনপত্রে দাখিল করা সকল তথ্য সত্য।

যোগাযোগ: দুয়ারে সরকার ক্যাম্প

বিশদ জানার জন্য: www.wbcdwdsw.gov.in ওয়েবসাইট দেখুন।

১১) কৃষক বন্ধু নতুন(Krishak Bandhu) প্রকল্পঃ-

উদ্দেশ্য:

১) কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে খরিফ ও রবি চাষ শুরুর আগে কৃষি উপকরণ ক্রয়ের সুবিধার্থে এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমির জন্য বছরে দুই কিস্তিতে সর্বাধিক ১০০০০ টাকা অনুদান পাবেন। জমি এক একরের কম হলে আনুপাতিক হারে বছরে দুই কিস্তিতে ন্যূনতম ৪০০০ টাকা পাবেন।
২) কৃষকবন্ধু (মৃত্যুজনিত সহায়তা) প্রকল্পে ১৮-৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষক বা নথিভুক্ত ভাগচাষির মৃত্যু হলে তাঁর আইনসম্মত উত্তরাধিকারী এককালীন ২ লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন।

কারা এই সুবিধা পাবেন:-

১) কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পের জন্য কৃষকের নিজ নামে চাষযোগ্য জমির পরচা/পাট্টা/ বন বিভাগের পাট্টা থাকলে অথবা নিবন্ধাকৃত বর্গা হলেও সুবিধা পাবেন।
২) নিজের নামে জমি না থাকলে দলিল দানপত্র/ দেবোত্তর/ অন্যান্য নথি এবং স্বঘোষণাপর আর তার সাথে পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট সহ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

কী কী নথি লাগবে:

১) কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে
ক) সাম্প্রতিক চাষযোগ্য জমির পরচা বর্গা নিবন্ধীকরণের নথিপাট্টা বা বন বিভাগের পাট্টার নথি।

খ) ভোটার কার্ড (আবশ্যিক)। গ) আধার কার্ড (আবশ্যিক)।
খ) ব্যাঙ্কের পাশবই/ বাতিল ব্যাঙ্ক চেক।
ঙ) পাসপোর্ট মাপের সাম্প্রতিক ছবি।
চ) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত মোবাইল ফোন নম্বর।
ছ) নিজের নামে জমি না থাকলে দলিল/ দানপত্র/ দেবোত্তর/ অন্যান্য নথি এবং স্বঘোষণাপত্র আর তার
সাথে পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট লাগবে।

২)কৃষকবন্ধু (মৃত্যুজনিত সহায়তা) প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে:

ক) মৃত কৃষক নথিভুক্ত ভাগচাষির সচিত্র পরিচয় পত্রের প্রত্যয়িত প্রতিলিপি (ভোটার কার্ড / আধার কার্ড)।
খ) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্রের প্রতিলিপি।
গ) গ্রামীণ এলাকার জন্য ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের দেওয়া আইনসম্মত উত্তরাধিকার সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং শহরাঞ্চলের জন্য মহকুমাশাসক অথবা মহকুমা কৃষি অধিকারিকের দেওয়া শংসাপত্র।
খ) মৃত ব্যক্তির নামে জমির সাম্প্রতিক পরচা / বর্গা নিবন্ধীকরণের নথি / পাট্টা বা বন বিভাগের পাট্টার নথির প্রতারিত প্রতিলিপি।

যোগাযোগ: ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা, ওয়েবসাইট www.matirkatha.gov.in অথবা www.matirkatha.net ও গ্রামীণ এলাকায় বিডিও অফিস, পৌর এলাকার মহকুমাশাসক।

১২) ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ(Aikyashree Scholarship):-

কারা এই সুবিধা পেতে পারেন:-

আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হতে হবে।

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ তিন ধরণের হয়:

ক) প্রি ম্যাট্রিক (প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত)।
খ) পোস্ট ম্যাট্রিক (একাদশ শ্রেণি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত)।
গ) মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (কারিগরি/ বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের জন্য)।

যোগ্যতা:-

প্রি ম্যাট্রিক ও পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য
১) এই রাজ্যে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রী, কেবল মাত্র রাজ্যে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হলে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২) পারিবারিক বার্ষিক আয় ২লক্ষ টাকা বা কম থাকতে হবে।
৩) বিগত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৫০% নম্বর পেতে হবে।

মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ এর জন্য

১) পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে কারিগরি বৃত্তিমূলক পাঠক্রমে ভর্তি হতে হবে।
২) উচ্চমাধ্যমিক/স্নাতক স্তরের (যেমন প্রযোজ্য) পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৫০% নম্বর পেতে হবে।
৩) পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা কম থাকতে হবে।

কী কী ডকুমেন্টস লাগবে:-

১) একটি মোবাইল ফোন নাম্বার ওটিপির জন্য।
২) বিগত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার মার্কশীট।
৩) ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের ফটোকপি।
৪) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বোনাফায়েড সার্টিফিকেট (কেবলমাত্র মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ এর জন্য)।

যোগাযোগ :-

নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত/ বিডিও অফিস/পৌরসভা/সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের জেলা আধিকারিকের অফিস।

বিশদে জানতে ও আবেদন করার জন্য: www.wbmdfcscholarship.in ওয়েবসাইটটি দেখুন।

১৩) বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা / Bina Mulya Samajik Suraksha Yojana:-

যে পরিষেবা পাওয়া যাবে:

১) এই যোজনার অন্তর্গত ভবিষ্যনিধি/ প্রভিডেন্ট ফান্ডের পাশবই আপডেট করা।

কারা এই সুবিধা পাবেন:-

(১) নিবন্ধীকৃত উপভোক্তা।

কী কী নথি প্রয়োজন:

প্রকল্পের পাশবই ও সামাজিক মুক্তি কার্ড।

উভয় ক্ষেত্রেই আসলের সঙ্গে একটি করে জেরক্স কপি আনতে হবে।

যোগাযোগের স্থান: এলাকার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে শ্রম দপ্তরের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার টেবিল।

বিশদ জানার জন্য: জেলা বা মহকুমা স্তরে আঞ্চলিক শ্রম কার্যালয় (RLO) অথবা ব্লক ও পৌরসভা স্তরে শ্রমিক কল্যাণ সহায়তা কেন্দ্র (LWFC) I

১৪) Banking Related Service:-

উদ্দেশ্য:

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু ইত্যাদির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসেছেন অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, সেই সব মানুষের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এবার নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি (KYC) ভেরিফিকেশনের জন্য

১) ৩ কপি পাসপোর্ট মাপের ছবি লাগবে।
২) পরিচয় সংক্রান্ত প্রমাণের জন্য নিচের যে কোনও একটি থাকা প্রয়োজন
ক) আধার কার্ড।
খ) ভোটার কার্ড।
গ) প্যান কার্ড।
ঘ) ড্রাইভিং লাইসেন্স।

৩) ঠিকানা সংক্রান্ত প্রমাণের জন্য নিচের যে কোনও একটি থাকা প্রয়োজন :
ক) পাসপোর্ট।
খ) ভোটার কার্ড, গ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি

উপরোক্ত নথি-প্রমাণ সহ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে।

১৫) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড/ Student Credit Card:-

প্রকল্পটি কী:-

পশ্চিমবঙ্গবাসী শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে, তাঁদের শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প সুদ অথচ দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধযোগ্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ প্রদান।

কারা এই সুবিধা পাবে :
১। ভারতের নাগরিক এবং অন্ততপক্ষে ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী পরিবারভুক্ত শিক্ষার্থী।
২। আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীর বয়স অনধিক ৪০ বছর হতে হবে।
৩। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বীকৃত বোর্ড/সংসদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি/বেসরকারি
বিদ্যালয়/মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত শিক্ষার্থী।
৪। দেশ বিদেশের যে কোনও স্বীকৃত কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স সহ স্নাতক/স্নাতকোত্তর/পেশাগত / ডক্টরাল ও পোস্ট ডক্টরাল কোর্সে পাঠরত শিক্ষার্থী।
৫। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কোচিং ইনস্টিটিউশনে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থী।

সব ক্ষেত্রেই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীকে সহ-ঋণগ্রহীতাকে সাথে করে ক্যাম্পে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

কী কী নথি / তথ্য প্রয়োজন:-

১। আবেদনকারীর আধার কার্ডের জেরক্স কপি/মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন নথির জেরক্স কপি।
২। আবেদনকারীর মোবাইল ফোন নম্বর ও ই-মেল আই ডি।
৩। আবেদনকারী ও সহ-ঋণগ্রহীতার (মা/বাবা/ আইনি অভিভাবক) রঙিন ছবি।
৪। আবেদনকারী ও সহ-ঋণগ্রহীতার প্যান কার্ডের জেরক্স কপি। প্যান কার্ড না থাকলে নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে অঙ্গীকারপত্র।
৫। অভিভাবকের ঠিকানার প্রমাণপরের জেরক্স কপি ও মোবাইল ফোন নম্বর।
৬। আবেদনকারী ও সহ-ঋণগ্রহীতার ব্যাঙ্কের তথ্য ব্যাঙ্কের নাম ও শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর, আই এফ এস কোড ইতাদি সম্বলিত ঐ ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি।
৭। আবেদনকারী ও সহ-ঋণগ্রহীতার নমুনা স্বাক্ষর
৮। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্স ফি সম্বলিত নথির জেরক্স কপি।
৯। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র/নথির জেরক্স কপি।

বিশদে জানতে ও আবেদন করার জন্য www.wb.gov.in দেখুন বা https://banglaruchchashiksha.wb.gov.in এর STUDENT CREDIT CARD ট্যাবে ক্লিক করুন বা https://wbscc.wb.gov.in দেখুন। টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ১০২৮০১৪ অথবা ই-মেল করুন।

KCC Agriculture

100 Days’ Work

SHG-Sanction of Loans

AADHAAR related

Mutation of Agricultural Land Minor correction in RoR

Matsyajeebi Credit card

Artisan Credit Card

Weaver Credit Card

Agriculture Infrastructure Fund – receipt, process & issue of sanctions against individual applications

Kisan Credit Card- ARD

সরকারি ও বেসরকারি চাকরির আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হনঃ লিংক 

Related Articles

Back to top button