ভারতে বহু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ থাকলেও ইন্টারনেটে পর্ণগ্রাফি দেখার সংখ্যাটা কম নয়। পর্নোগ্রাফি দেখার দৌড়ে হাঙ্গেরি পরেই রয়েছে ভারত। ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
যদিও ভারতের সামনের পর্ণগ্রাফি দেখার তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাম। ইনসাইডার মাঙ্কি -র ২০২৪ সালে মে মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, পর্ন সাইটে বিশ্বে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ ট্রাফিক আসে ভারত থেকে। যেখানে এই বছর অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাপী মোট ভিজিটর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৭ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার, সেইখানে ভারতীয়দের ভিজিটর সংখ্যা প্রায় ৪৩ কোটি ৪১ লাখ।

বিশ্বে পর্নোগ্রাফি দেখার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং হাঙ্গেরি এরপরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত, তারপরের অবস্থানগুলো দখল করেছে মেক্সিকো, ফ্রান্স, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি।
দেশে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় ফলে সবার মাঝে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে পর্ণ ভিডিও,সেটা সফট হোক বা হার্ড।
শুধু কি পর্ণ সাইটে পর্ণগ্রাফি ছয়লাপ করেছে! এই প্রশ্নের উত্তরে কেউই হয়ত না ছাড়া কিছু বলবে না। যদিও ইতিমধ্যে ভারতে পর্ণগ্রাফি এতটাই সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তির প্রাইভেট ভিডিও আপলোড করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খুব সহজে। তারফলে খুব সহজেই সেগুলো ভাইরাল হয়ে সবার কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে, এইসব কনটেন্টের অ্যাক্সেস নিয়ে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা নেই বলেই এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্য সতর্ক করেছেন, পর্ণগ্রাফি মানসিক ও সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
পর্নোগ্রাফি দেখার ঘটনায় একেবারেই পিছিয়ে নেই ভারত৷ চলতি বছরের শুরুতে কেন্দ্র প্রায় ২৫টি OTT প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এই অভিযোগ করে, এইসব ওটিটি প্লাটফর্ম অশ্লীল এবং আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরি করছিল বলে। তবে এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি অশ্লীল কন্টেন্টের উপর সরকার।

