লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রথম ধাপে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হলো,চেক করুন টাকা
ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কথা দিয়েছিলেন তৃতীয় বার সরকার গঠন করলে মা – বোনদের জন্য ‘লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করবেন। এই প্রকল্পে মাধ্যমে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা করে মাসে মাসে জমা পরবে।
আগষ্ট মাসে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের প্রতিটা জেলাতেই বিপুল সংখ্যক মহিলা ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে আবেদন করতে শুরু করে। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শেষ হওয়ার পর দেখা যায় শুধু ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পেই প্রায় এক কোটি আশি লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে আবেদন পত্র ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ চলছে। তার মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের অর্থ বরাদ্দ করা হলো।
সোমবার রাজ্যের ২২ টা জেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করলো নারী ও শিশু কল্যান দফতর।
নারী ও শিশু কল্যান দফতরের জারি করা নোটিশ অনুযায়ী মোট বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্যই ধার্য করা হয়েছে ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত সোমবার পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই জেলায় আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষের বেশি। বরাদ্দকৃত অর্থের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলার জন্য মোট ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ও মূর্শিদাবাদ জেলার জন্য ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার জন্য (যেমন হাওড়া ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার, পূর্ব বর্ধমান ১৪ লক্ষ ৪৫ হাজার, নদীয়া ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর ১৪ লক্ষ ২৭ হাজার, বীরভূম ১২ লক্ষ ৯২ হাজার, মালদা ১০ লক্ষ ৭১ হাজার, পশ্চিম বর্ধমান ১০ লক্ষ ২৮ হাজার, বাঁকুড়া ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার, কোচবিহার ৮ লক্ষ ৩০ হাজার, পুরুলিয়া ৬ লক্ষ ৯১ হাজার, দার্জিলিং ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার, আলিপুরদুয়ার ২ লক্ষ ৯৭ হাজার, ঝাড়গ্রাম ২ লক্ষ ৮ হাজার) টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। হুগলী জেলায় ৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৮২২ টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ের জন্য ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা,
জলপাইগুড়ি জেলার ৪ লাখ আবেদনের জন্য ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৩ লক্ষ ২৬ হাজার আবেদনে ৬ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবচেয়ে কম, মাত্র ২৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের সবচেয়ে ছোটো জেলা কালিম্পং এর জন্য। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের এই ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১২,৯০০ কোটি টাকা, যা পরের আর্থিক বছরে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হবে বলেই ধারনা।