সামাজিকমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে নেপালে টানা দুই দিনের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি । মঙ্গলবার সকালে (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের সচিবালয় থেকে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও গতকাল সোমবার পদত্যাগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে জেন–জির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ।
সম্প্রতি দেশটিতে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত সোমবার থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কারফিউ উপেক্ষা করে তরুণ-ছাত্ররা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ পোখারা, বুতোয়াল, ভারতপুর ও ইতাহারির রাস্তায় নেমে আসে এছাড়াও বিক্ষোভে নেমেছেন হাজারো মানুষ।লাঠি, গাছের ডাল ও জলের বোতল নিয়ে প্রতিরোধ করছেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর এবং রাজনীতি নেতাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।গতকাল সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা।
সরকার বিক্ষোভ দমনের জন্য সেনা মোতায়েন করে। পুলিশের গুলিতে প্রায় ১৯ জন নিহত হয়, আহত হয় চার শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে প্রায় শিক্ষার্থীরাই ছিলেন। এ ঘটনার পরপরই দেশটিতে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
চাপের মুখে মঙ্গলবার সকালে সমাজমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন অলি, কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। অবশেষে সেনাপ্রধানের নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
কেপি শর্মা অলি ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অতীতেও তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।