প্রকল্প

সরকারের কাছে ধান বিক্রি অনলাইন আবেদন 2022 শুরু হলো,দেখুন

google_news
সব খবর মোবাইলে পেতে ফলো করুন গুগুল নিউজ

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে সমস্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধান্য ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কৃষক বন্ধুরা এই সব ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল পিছু বাড়তি ২০ টাকা করে উৎসাহ মূল্য পাবেন। ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এখানে নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এবার সমস্ত পদ্ধতি চলবে অনলাইনে। আপনি যদি রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে থাকেন তাহলে এখন অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, একবার রেজিস্ট্রেশন করে থাকলে (২০১৯ – ২০ খরিফ মরশুম থেকে) আপনাকে আর রেজিস্ট্রেশনের এর জন্য আবেদন করতে হবে না।

আর আপনি যদি ধান বিক্রি করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকেন। তাহলে নতুন খরিফ মরশুমে (২০২২ – ২৩) ধান বিক্রির জন্য নিজেই নিজের শিডিউল করতে পারবেন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো…

ধান বিক্রির জন্য অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনঃ- 

১) প্রথমে আপনাকে Government of West Bengal Department of Food and Supplies Online Paddy Procurement System এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে।

২) এরপর Farmer Self Registration এ ক্লিক করতে হবে।

৩) এরপর পরবর্তী পেজে আবেদন ফর্মটি চলে আসবে। যেখানে ভোটার কার্ড নাম্বার, আধার কার্ড নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, লিঙ্গ, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক একাউন্ট নাম্বার, কতগুলো জমির ধান বিক্রি করবেন সেই তথ্য ইত্যাদি। সবকিছু সঠিক ভাবে বসিয়ে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।

৪) ডকুমেন্টস হিসাবে ভোটার কার্ড, কৃষকের ফটো, ব্যাঙ্কের পাশ বই,খতিয়ান আপলোড করতে হবে।

ধান বিক্রি অনলাইন আবেদন 2022:- আবেদন পদ্ধতি ভিডিও দেখুন 

ধান বিক্রি করার জন্য শিডিউল বুকিংঃ- 

১) প্রথমে আপনাকে Government of West Bengal Department of Food and Supplies Online Paddy Procurement System এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসুন।

২) এরপর Farmer Self Scheduling এ ক্লিক করুন।

৩) এরপর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও ক্যাপচার কোর্ড বসিয়ে দিয়ে সাবমিট করুন।

৪) রেজিস্ট্রার মোবাইল নাম্বারে OTP আসবে তা দিয়ে লগইন করুন।

৫) এরপর, কৃষক পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ( ছুটির দিন ব্যতীত ) যে কোনো তারিখ বেছে নিতে পারবে। তাঁর কোটার প্রাপ্যতা সাপেক্ষে একজন কৃষক সর্বাধিক ৪৫ কুইন্টাল পরিমান ধান বিক্রি করতে পারবেন।

৬) এরপর তারিখ বেছে নিয়ে কৃষককে সাবমিট এ ক্লিক করতে হবে।

৭) অবশেষে, কৃষকের দ্বারা নিশ্চিতকরণের পরে, একটি QR – কোড স্লিপ তৈরি হবে, যা তিনি ডাউনলোডও করতে পারবেন। সফল শিডিউলিং-এর পর কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে।

Official Website Link:- Apply

প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১) পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি এই বছর ধান কেনার কোন পরিকল্পনা করেছেন?

হ্যাঁ। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যবস্থা করেছেন।

২) কোথায় এবং কখন ধান কেনা হচ্ছে?

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছেন প্রায় সমস্ত ব্লকের কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে। এই ধান্য ক্রয় কেন্দ্রগুলি সাধারণত ব্লকের কৃষক বাজারগুলোতে এবং অন্যান্য কিছু জায়গাতে খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে ছুটির দিন বাদে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত প্রত্যেকদিন ধান কেনা চলছে সারা বছর ধরেই।

৩) সরকার নির্ধারিত ধান্য ক্রয় কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও কি ধান কেনা হয়? এই বিষয়ে কীভাবে জানা যাবে?

হ্যাঁ। সমবায় সমিতি / স্বনির্ভর গোষ্ঠী / কৃষি উৎপাদক সংস্থা বা সি এম আর (CMR) এজেন্সির অধীনে ধান কেনার শিবির করা হয়ে থাকে। কখনো কখনো যেখানে অধিক ধানের ফলন হয় সেসব জায়গাতে কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয় কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে প্রয়োজন সাপেক্ষে ধান কেনার শিবির করা হয়। কোথায় কখন শিবির হবে সে বিষয়ে সাধারণত অগ্রিম প্রচার করা হয়। এছাড়া সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করণ ও স্থানীয় ব্লক/ মহকুমা / জেলা খাদ্য দপ্তর থেকে এ বিষয়ে খবর পাওয়া যায়।

৪) ধান বিক্রি করতে কি কি কাগজ পত্র দরকার?

নিম্নলিখিত নথিগুলি দরকার। যথা- ক) ভোটার কার্ড, খ) আধার কার্ড, গ)IFSC- কোড) যুক্ত ব্যাঙ্ক পাশবই, ঘ) জমির নথি বা স্ব-ঘোষণা এ জমির বিবরণ ও পরিমাণ সহ এবং ১) এবং ২ টি পাসপোর্ট মাপের ছবি।

যদিও এখন অনলাইন পদ্ধতি শুরু হয়েছে, অনলাইন শিডিউল বুকিং করলেই শেষে একটি QR Code যুক্ত কার্ড পাওয়া যায়,তা দিয়ে হয়ে যাবে।

৫) একজন কৃষক কতটা ধান বিক্রি করতে পারবে?

সর্বাধিক ৪৫ কুইন্টাল ধান একজন কৃষক বিক্রি করতে পারবেন। এই ধান একবারে বা কয়েক কিস্তিতে বিক্রি করা যাবে।

৬) ধানের কি কোন মান নির্ধারিত আছে?

হ্যাঁ। ধানের নির্দিষ্ট মান নির্ধারিত আছে যা না মিললে সেই ধান কেনা হবে না। মানটি নিম্নে বর্ণিত হল

ধান পরিষ্কার, শুকনো, পরিপক্ক, সঠিক গুনমান, উপযুক্ত পুষ্টি সম্পন্ন ও একই ধরনের সাইজ বা রং এর হওয়া দরকার। ধানে যেন কোন রকমের ছত্রাক, পোকার সংক্রমণ না হয়ে থাকে তা দেখা দরকার। অনান্য নির্দিষ্ট গুনমানগুলি নিম্নে দেওয়া হলঃ

নং প্রতিসরণ গুলি সর্বাধিক মাত্রা

(১) জৈব মিশ্রণ / অজৈব মিশ্রণ ১%
২) নষ্ট, বিবর্ণ, অঙ্কুরিত, পোকায় কাটা ধান ৫%
৩) অপরিপক্ক, কুঞ্চিত ধান ৩%
৪) নিম্ন জাতের মিশ্রিত ধান ৬%
৫) আদ্রতা ১৭% এই জনমান পরীক্ষার জন্য প্রতিটি ধান এর কেন্দ্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকে।

৭) ধান বিক্রির সময় কোন পরিমাণ বাদ দেওয়ার কি কোন নিয়ম আছে?

সাধারণত ধান যদি সঠিক গুনমান অনুযায়ী না হয় তবে সেই ধান কেনার কথা নয়। কিন্তু কৃষক ভাইদের ধান আনানেওয়ার কষ্টের কথা চিন্তা করে, অবনত মানের ধান কিছু পরিমাণ বাদ দিয়ে সেই ধান কেনা হয়। তবে সেটা অবশ্যই অনুসন্ধান এবং আলোচনা সাপেক্ষ। যদি কৃষক তাঁর ধান পরিস্কার করে মান অনুযায়ী না আনেন তবে এই সমস্যা আসতে পারে।

৮) ধানের দাম কীভাবে পাওয়া যাবে?

ধানের দাম সরাসরি ব্যাংক এর খাতায় NEFT / RTGS এর মাধ্যমে কৃষককে দেওয়া হবে ধান বিক্রির ৩ দিনের মধ্যে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর বিবরণ সঠিক ভাবে না দেওয়া থাকলে দেরী হতে পারে।

৯) ধানের দাম পেতে কোন অসুবিধে হলে কি করতে হবে।

সেক্ষেত্রে ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের ক্রয় আধিকারিক (পিও), বিতরণ আধিকারিক (ডিও) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে শীঘ্র তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

১০) ধান বিক্রি করতে অসুবিধে হলে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে?

সেক্ষেত্রে জেলা বা মহকুমা নিয়ামকের, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করণে যোগাযোগ করা যেতে পারে অথবা খাদ্য দপ্তরের টোল ফ্রি ফোন নং ১৮০০-৩৪৫-৫৫০৫ / ১৯৬৭ তে যোগাযোগ করে সমস্যা জানানো যেতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি চাকরির আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হনঃ লিংক

Related Articles

Back to top button