স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আবেদন ফর্ম, নামের লিস্ট, টাকা চেক,শর্ত,সুবিধা দেখুন
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উদ্দেশ্যঃ-
উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রত্যেক রাজ্য বাসীর দরজায় পৌঁছে দেওয়া। যে সমস্ত পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি থাকবে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা করার সুবিধা পাবেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে(Sawasthya Sathi Card) রয়েছে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে।এই টাকা দিয়ে সরকারি কিংবা বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসা করা যাবে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কারা কারা আবেদন করতে পারবেনঃ-
১) যে সমস্ত পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই।
২) পরিবারের কোনো সদস্য যদি রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্র সরকারের কোনো হেলথ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত নেই কিংবা ই এস আই বা সরকার পোষিত কোনো হেলথ ইন্সুরেন্স এ নাম নথিভুক্ত নেই তারা পাবেন এই কার্ড।
৩) সরকার বা সরকারি সংস্থা থেকে বেতন পান কিন্তু চিকিৎসা ভাতা পাননা এমন পরিবার গুলো স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদন পদ্ধতিঃ-
১) আবেদন করতে হবে অফলাইনে।
২) স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়ার জন্য ফর্ম বি পূরণ করতে হবে।
৩) আবেদনকারী ও পরিবারের সকল সদস্যের নাম ঠিকানা ফর্মে সঠিক ভাবে বসিয়ে দিন।
৪) ফর্মে বৈধ মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।
৫) খাদ্য সাথী কিংবা আধার কার্ড এর প্রতিলিপি কমা করতে হবে।
৬) খাদ্য সাথী বা আধার কার্ড না থাকলে সরকারি যে কোনো সচিত্র পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য সাথী ফর্ম ডাউনলোড লিংকঃ- Swasthya Sathi Card Form Download Link Pdf
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ও চিকিৎসা নিয়ে কোনে অভিযোগ জানানোর জন্য যোগাযোগ করুনঃ-
উপভক্তার কোন রকম অভিযোগ থাকলে — জেলা সদর দপ্তরে যোগাযোগ করুন অথবা আমাদের ওয়েবসাইট https://swasthyasathi.gov.in এ গিয়ে আপনার অভিযোগ নথিভুক্ত করুন অথবা আমাদের কল সেন্টারের শুল্কমুক্ত এই নং ১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪ – এ অভিযোগ নথিভুক্ত করুন।
আরো জানতে হলে যোগাযোগ করুন জেলা নদাল অফিসার (DNO) ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও গ্রাম পঞ্চায়েতে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বৈশিষ্ট্যঃ-
১) কার্ডের মেয়াদ ১ বছর এবং প্রতি বছর পুনরায় নবীকরনের যোগ্য।
২) প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা মুল্যে চিকিৎসার সুবিধা প্রতি পরিবারে পাওয়া যাবে, যার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
৩) হাসপাতালে থাকাকালীন রোগীর সকল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সমস্ত ঔষধ পথ্য বিনামুল্যে দেওয়া হবে।
৪) এই পরিষেবার অন্তর্গত পরিবারের সদস্য এবং ঐ পরিবারের সাথে যুক্ত নিরভরশীল সন্তান সদস্যের সংখ্যা এবং বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
৫) হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় রোগীর গাড়ি ভারা বাবদ ২০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে এবং সরকারী হাসপাতালের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে।
৬) এই পরিসেবা পাওয়া যাবে জেলার নতিভুক্ত সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ।
৭) হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ সরাসরি হাসপাতালকে বীমা কোম্পানি দেবে পূর্ব নিরধারিত ব্যয়ের হার অনুযায়ী।
৮) আই স্মার্ট কার্ডটি পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে/ ব্লক অফিসে/ মিউনিসিপ্যাল অফিস থেকে ।
৯) স্বাস্থ্য সাথী মোবাইল এপ (APP) থেকেও নিকটবর্তী হাসপাতালের তালিকা দেখুন বা ওয়েবসাইটে গিয়েও দেখুন।
১০) GPRS – মাধ্যমে আপনার নিকটবর্তী হাসপাতালের নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন।
১১) URN নম্বর দ্বারা নিজের কার্ডের ব্যলেন্স ও Transaction সম্বন্ধে বিষদে তথ্য। হাসপাতাল, ডাক্তার ও এম্বুলেন্স সংক্রান্ত তথ্য।
১২) নতুন এম্বুলেন্স নথিভুক্তকরনের সুবিধা।
১৩) টোল ফ্রী নম্বরে সরাসরি কল করার সুবিধা।
১৪) সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুবিধা।
১৫) উপভক্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য চিকিৎসা পাওয়ার জন্য স্মার্ট কার্ডটি নিয়ে নথিভুক্ত হাসপাতালে হেল্প ডেক্সে যোগাযোগ করতে হবে।
১৬) হাসপাতালের তালিকা বই সযত্নে হাতের কাছে রাখুন।
১৭) কোন অবস্থাতেই স্মার্ট কার্ডটি পরিবারের নথিভুক্ত সদস্য ছাড়া অপর কোন ব্যক্তিকে হস্তান্তর করবেন না।
১৮) ভর্তি থাকা অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মার্ট কার্ডটি দেবেন না।
১৯) হাসপাতালে ভর্তি হবার সময় আপনার মোবাইল নম্বর অবশ্যই নতিভুক্ত করুন।
২০) ছুটির সময় যাতায়াত বাবদ নগদ বাবদ টাকা চেয়ে নিন, সংশ্লিষ্ট ভাউচার / রেজিস্টার খাতায় সই করুন বা টিপ ছাপ দিন।
২১) হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় আপনার স্মার্ট কার্ডটি সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।
২২) কার্ডের অবশিষ্ট টাকা চিকিৎসার প্যাকেজ রেটের চেয়ে কম থাকলে বাকি টাকা রোগীকে দিতে হবে।
২৩) চিকিৎসার জন্য কত টাকা খরচ হল ( প্যাকেজ রেট ) জেনে নিন এবং চিকিৎসার পর কার্ডের অবশিষ্ট টাকার পরিমান জেনে নন, ডিসচার্জ স্লিপ চেয়ে নিন।
২৪) জেনে রাখুন স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পাওয়া যায়, তবে উপভক্তাকে নতুন কার্ডে তৈরীর খরচ বহন করতে হবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য উপভক্তাকে জেলা কার্যালয় যোগাযোগ করতে হবে।
২৫) স্মার্ট কার্ডের সুবিধা গুলি বছরে ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনামুল্যে স্বাস্থ্য বীমা।
২৬) স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে জেলা, রাজ্য, এমনকি দেশের বিভিন্ন নথিভুক্ত হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে। ১৯০০ বেশি ধরনের প্যাকেজভুক্ত রোগের চিকিৎসা ।
২৭) পূর্ববর্তী থাকা রোগ, এই স্বাস্থ্য বীমার অন্তরভুক্ত। (শরতাধীন)
২৮)কারা সামিল হবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা, চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ও নিম্নআয় প্রাপ্ত কর্মচারী যথা আশা কর্মী, অঙ্গনওইয়াড়ি কর্মী ও সহায়ক, সিভিক স্বেচ্ছাসেবক, নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য, এম জিএন আর ই জি এ, আনন্দধারা ও ডি আর ডি সি, পার্টটাইম টিচার , পি এম জি এস ওয়াই।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম চেকঃ–
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনার পরিবারের কিংবা আপনার নাম নথিভুক্ত আছে কি না চেক করার জন্য https://swasthyasathi.gov.in স্বাস্থ্য সাথী অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসুন এরপর Find Your Name এ ক্লিক করে নাম চেক করুন।
আপনি যদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য ফর্ম ফিলাপ করে থাকেন।তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কার্ডটি হয়েছে কিনা। আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে চেক করে দেখে নিতে পারবেন যে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনার পরিবারের কার কার নাম রয়েছে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে পারবেন,সরকারি কিংবা বেসরকারি হসপিটাল থেকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে থাকে ৫ লক্ষ টাকা করে।আপনাকে প্রত্যেক বছর এই কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয় চিকিৎসা করার জন্য।
আপনি যদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিয়ে থাকেন তাহলে নিচের ধাপ গুলো ফলো করে দেখে নিন আপনার নাম লিস্টে রয়েছে কিনা।
১) আপনাকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে।
ওয়েবসাইট লিংকঃ– https://swasthyasathi.gov.in
২) এরপর আপনাকে Find Your Name অপশনে ক্লিক করে এগিয়ে যেতে হবে।
৩) তারপর আপনাকে, আপনার রেজিস্ট্রার মোবাইল নাম্বার কিংবা আপনার পরিবারের যে কোনো সদস্যের মোবাইল নাম্বার দিতে হবে ও সাবমিটে ক্লিক করে এগিয়ে যেতে হবে।
৪) এরপর আপনাকে আপনার জেলার নাম,ব্লক/মিউনিসিপালিটি নাম,ওয়ার্ড নাম্বার/গ্রামের নাম ইত্যাদি বসিয়ে দিয়ে সাবমিটে ক্লিক করে দেখে নিন,আপনার নাম লিস্টে রয়েছে কিনা।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নাম চেক লিংকঃ- https://data.swasthyasathi.gov.in/SSDataSearchLogin.aspx
Swastha Sathi Prakalpa Form A :- Download