রাজ্যের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন সকালের প্রার্থনায় গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ পাঠের নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা পর্ষদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে পাঠের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলোতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে যেদিন রাখি বন্ধন উৎসব করেছিলেন হিন্দু-মুসলমানের হাতে রাখি পড়িয়ে দিয়ে, সেই উপলক্ষ্যেই তিনি লিখেছিলেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু, বাংলার ফল – পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান’ গানটি।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ বলেন, এখন থেকে স্কুলের প্রার্থনাসভায় এই গান গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এই গানটিকে রাজ্যের জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি দেয় সরকার।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি কর্তৃক রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জনমনগণ অধিনায়ক জয় হে”র প্রতি বিদ্যালয়ে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি, এই রাজ্যসঙ্গীত গীত হলে, তা সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যর বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সর্বদা সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী।













