West Bengal Voter SIR Documents: ভোটার SIR কোন কোন নথি গুলো বৈধ? কোন নথি থাকলে চিন্তা নেই! দেখুন লিস্ট

Khalek Rahaman
WhatsApp_Group
সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করুন

আর কিছুদিনের অপেক্ষা তারপরই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে, ভোটার তালিকার (Voter List) স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। ভোটার এসআইআর (Voter SIR) এ কোন নথি গুলো দেখাতে হবে, চলুন দেখে নেওয়া যাক। কোন ১১ টি নথি থাকতে হবে আপনার কাছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য?

Join WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ভোটার এসআইআর (Voter SIR) কি?

ভোটার SIR বা স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন এর মাধ্যমে, ভুয়ো ভোটারের নাম লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া, এক জন ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড থাকলে ভোটার কার্ড বাতিল করা, নতুন ভোটারদের নাম যুক্ত করা, মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, ভুল তথ্য (বয়স, ঠিকানা, নামের বানান ইত্যাদি) সংশোধন করা, পুরনো ভোটারদের তথ্য যাচাই করা।

পশ্চিমবঙ্গে শেষবারের মতো ২০০২ সালে ভোটার এসআইআর (Voter SIR) কর্মসূচি হয়েছে। ঠিক ২৩ বছর পর আবারও পশ্চিমবঙ্গে হতে চলছে ভোটার SIR। ২০২৬ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন ভোটার এসআইআর এর কাজ শেষ করতে চলেছেন। আর এরজন্য খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যে জারি হতে চলেছে ভোটার তালিকার সংশোধন কর্মসূচির কিংবা এসআইআর বিজ্ঞপ্তি।

ভোটার এসআইআর এর জন্য বৈধ নথি (Voter SIR Valid Documents List) কি কি?

পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে ভোটার SIR। আর Voter SIR চলাকালীন বুথ লেভেল অফিসার বা BLO – রা প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করবেন, এরপর সেই ফর্ম উপযুক্ত নথি সহকারে ফের সংগ্রহ করবেন। কোন কোন নথি চাওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দেখুন –

১) ১ জুলাই ১৯৮৭ সালের আগে জন্ম ও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে, কোনো নথি দরকার পরবে না। শুধুমাত্র ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা পেজটির জেরক্স জমা করতে হবে এনুমারেশন ফর্মে সাথে। আর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে নিচে উল্লেখিত নথির মধ্যে একটি জমা করতে হবে।

২) ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ২রা ডিসেম্বর ২০০৪ সালের মধ্যে জন্ম, তাদের জন্মের কিংবা বসবাসের মধ্যে যেকোনো একটি নথি জমা করতে হবে। এছাড়াও বাবা কিংবা মা – যেকোনো একজন ব্যক্তির জন্মের বা বসবাসের প্রমাণপত্র জমা করতে হবে। তবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে বাবা কিংবা মায়ের নাম থাকলে সেই পাতাটির জেরক্স জমা করলে, বাবা মায়ের অতিরিক্ত নথির দরকার পরবে না।

৩) অপরদিকে ২রা ডিসেম্বর ২০০৪ সালে পর যেসকল ভোটারের জন্ম। তাদের নিজের একটি নথি ও বাবা এবং মা উভয়েরই একটি করে নথি জমা করতে হবে এনুমারেশন ফর্মের সাথে। এই ক্ষেত্রেও ২০০২ সালের প্রকাশিত ভোটার তালিকায় বাবা ও মায়ের নাম থাকলে, সেই পেজটি জমা করতে হবে। এর ফলে অতিরিক্ত বাবা ও মায়ের ডকুমেন্টস এর দরকার পরবে না।

২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে, কি কি নথি জমা করা যাবে এনুমারেশন ফর্মের সাথে? দেখুন –

১) জন্ম শংসাপত্র (Birth Certificate),
২) পাসপোর্ট ( Valid Indian Passport),
৩) মাধ্যমিক কিংবা তার সমতূল্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট,
৪) জাতিগত শংসাপত্র – SC/ST/OBC সার্টিফিকেট,
৫) কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/সরকারি সংস্থা (PSU)-এর স্থায়ী কর্মচারী বা পেনশনভোগীদের জন্য ইস্যু করা পরিচয়পত্র বা পেনশনের নথি,
৬) ০১/০৭/১৯৮৭ সালের আগে ভারত সরকার/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ/ব্যাঙ্ক/পোস্ট অফিস/LIC/সরকারি সংস্থা কর্তৃক ইস্যু করা কোনও পরিচয়পত্র বা সার্টিফিকেট কিংবা কোনো নথি,
৭) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট,
৮) বন অধিকার শংসাপত্র,


৯) NRC নথি (National Register of Citizens – NRC),
১০) পারিবারিক রেজিস্টার (Family Register) শংসাপত্র,
১১) সরকার কর্তৃক ইস্যু করা জমি বা বাড়ি বরাদ্দের সার্টিফিকেট।

উপরে উল্লেখিত নথির মধ্যে যেকোনো একটি কিংবা দুটো নথি জমা করতে পারবেন ভোটাররা এনুমারেশন ফর্মের সাথে। কমিশনের তরফ থেকে BLO দের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একজন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না, যদি এরকম কোনো ভুল হয়ে থাকে তার সম্পূর্ণ দায় বর্তাবে BLO-দের ওপর।

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার প্রায় চারশোরও বেশি বুথ লেভেল অফিসার (BLO)-দের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে। সূত্র অনুযায়ী, সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট নির্দেশ দেন — বৈধ ভোটারের নাম কোনোভাবেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না, আবার অবৈধ ভোটারদের নাম রাখা চলবে না। তিনি আরও সতর্ক করেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের ত্রুটি বা গাফিলতি ধরা পড়লে তার পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট BLO-কেই নিতে হবে।