Voter SIR Documents West Bengal: ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরু, দেখুন কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

Ealiash Rahaman
By
Ealiash Rahaman
বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশ ও বিদেশের সমস্ত রকম খবরাখবর রাখতে ও তা প্রতিবেদন আকারে লিখতে অভ্যস্থ।
3 Min Read
WhatsApp_Group
সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করুন

পশ্চিমবঙ্গ সহ এবার মোট ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একসাথে ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচির কাজ শুরু হবে। আজ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দিনক্ষন ঘোষণা করা হয়েছে।

Join WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

নির্বাচন কমিশন জানায় , প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে ২৮ অক্টোবর থেকে এবং চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর বিএল‌ও রা‌ ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এসআইআর ফর্ম (Enumeration Form 2025 West Bengal) বিলি করবেন ও তথ্য সংগ্রহ করবেন।

৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কাজ। এরপর সেই আবেদনের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশন খসড়া তালিকা প্রকাশ করবেন ৯ ডিসেম্বর ২০২৫। কোনো ভোটারের নাম যদি সেই ভোটার লিস্টে না থাকে, তাহলে আপত্তি এবং নাম বাদ গেলে তা রাখার দাবি জানানোর আবেদন নেওয়া হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর কমিশন আবেদন যাচাই করে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, এনিউমারেশন পর্বে, অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার পর্বে, কোনও নথি লাগবে না।। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের পুরনো তালিকার সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখা হবে। যদি নাম না মেলে, তবে পরিবারের এমন কারও নাম দিতে হবে যিনি তখন ভোটার ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটার ফরম শুধু কমিশনই দেবে, অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। ফরমে আগে থেকেই নাম ছাপা থাকবে এবং বর্তমান ছবি লাগাতে হবে। এতে কিউআর কোড থাকবে যাতে ভুল বা জালিয়াতি রোধ করা যায়। কেউ একই ফরম একাধিকবার জমা দিলে তা অবৈধ বা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।

যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁদের নতুন ভাবে নাম তোলার জন্য যেসব ডকুমেন্টের দরকার হবে জেনে নেই –

১) কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের নিয়মিত কর্মচারী বা পেনশনভোগীর পরিচয়পত্র/পেনশন পেমেন্ট অর্ডার।
২) ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া যেকোনও পরিচয়পত্র বা নথি।
৩) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া জন্ম শংসাপত্র।
৪) পাসপোর্ট।
৫) স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক বা তার উপরের শিক্ষাগত শংসাপত্র।
৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র।


৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট।
৮) যোগ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া জাতিগত (OBC/SC/ST) শংসাপত্র।
৯) যেখানে প্রযোজ্য, নাগরিকদের ন্যাশনাল রেজিস্টার (NRC)।
১০) রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুত করা পারিবারিক নিবন্ধনপত্র (Family Register)।
১১) সরকারের দেওয়া জমি বা বাড়ি বরাদ্দ সংক্রান্ত শংসাপত্র।
১২) আধারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (চিঠি নং 23/2025-ERS/Vo.II, তারিখ 09.09.2025) প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া নতুন করে ভোটার আবেদনের জন্য ফর্ম -৬ আর পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য ফর্ম -৮ আবেদন করতে হবে।

Share This Article
বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশ ও বিদেশের সমস্ত রকম খবরাখবর রাখতে ও তা প্রতিবেদন আকারে লিখতে অভ্যস্থ।