২০১৭ সালে উন্নাও জেলায় এক নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি এস প্রসাদ ও বিচারপতি হরিশ বিদ্যানাথন শঙ্করের বেঞ্চ ১৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে এই মামলায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন সাজা শোনানো হয়। সেই সাজা আপাতত স্থগিত করে জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
এ ছাড়া আদালত জানিয়েছে, কুলদীপ সেঙ্গার নির্যাতিতার বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি তাকে নির্যাতিতার পরিবারকে কোনরকমে হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে। হাইকোর্টে রায় শোনার পর, নির্যাতিতা ও তার মা ইন্ডিয়া গেটের বাইরে অবস্থান নেন, সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। যদিও পুলিশ জোর করে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয়।
এছাড়াও এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নে, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ওপি রাজভরের মুখে টিপ্পনি ও উপহাসের সুর। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন নির্যাতিতাদের দিল্লি গেট থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলে, বলেন ওনার বাড়ি তো উন্নাও তে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এদিন কুলদীপ সেঙ্গারের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতা। রায় ঘোষণার পর নির্যাতিতা ও তাঁর মা ইন্ডিয়া গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। নির্যাতিতার বক্তব্য, সেঙ্গারের মুক্তিতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও বিক্ষোভ দেখালে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার।

