দেশজুড়ে সরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ১৩ হাজার হলেও। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৪৯ টি সরকারি স্কুলে এক জন ছাত্রছাত্রীও ভর্তি হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা এমনই ভয়াবহ তথ্য সংসদে পেশ করেন। এই ছাত্র শূন্য স্কুলগুলির ৭০ শতাংশেরও বেশি তেলঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।
কেন্দ্রের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, গত দুই বছরে এই ধরনের সরকারি স্কুলের সংখ্যা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানা। তেলেঙ্গানায় কমপক্ষে ২,০৮১ টি স্কুলে কোনও ছাত্র নেই। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা কম নয় প্রায় ১,৫৭১। যার মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কলকাতায় অবস্থিত ২১১টি সরকারি স্কুলে এক জন ছাত্রও ভর্তি হয়নি। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তারপরেই সেই তালিকার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭৭টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৪৭টি স্কুলে অস্তিত্ব নেই কোনো ছাত্র। অথচ স্কুলগুলোতে ছাত্রদের ভর্তি সংখ্যা কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যদিও এর আগে বিভিন্ন রিপোর্ট এরকম তথ্য দিলেও সারাদেশে এরকম শিক্ষার হাল নয়।
সূত্র মোতাবেক, এসব স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও শিক্ষকের কোনো সংকট নেই।শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সুন্দর সমাজ গঠনের প্রধান হাতিয়ার হলেও সরকারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর কমছে সংখ্যা।
উল্লেখ্য, কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষক বা সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষেরা কেউ তাদের সন্তানকে এসব সরকারি স্কুলে পড়ান না। ফলে দিন দিন কমছে ছাত্র। এছাড়াও পরিবারের আর্থিক সঙ্কট ও অল্প বয়সে জীবিকার তাগিদে পড়ালেখা ছেড়ে কাজে নামছে বেশিরভাগই। অপরদিকে দেশজুড়ে সরকারি স্কুলের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

