প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কারা কারা ঘর পাবে, ১৫ দফা নির্দেশ নবান্নের

MD 360 NEWS
3 Min Read
WhatsApp_Group
সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করুন

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি গ্রামাঞ্চলে গরীব মানুষের জন্য তৈরি করারা জন্য অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন কিভাবে উপভোক্তাদের নাম চিহ্নিত করা হবে?

Join WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

এরজন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ‘আবাস প্লাস’ তথ্য ভান্ডারে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার নাম নথি ভুক্ত করে রেখেছে। আর এখান থেকেই অগ্রাধিকারেরর ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করতে হবে।

রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের নাম চিহ্নিত করার জন্য ১৫ দফা নির্দেশিকা দিয়েছে, নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো….

রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের নাম চিহ্নিত করার জন্য ১৫ দফা নির্দেশিকা দিয়েছে।

উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার আগে দেখতে হবে যে তার পরিবারের কোনও পাকা বাড়ি রয়েছে কিনা?

পরিবারের কেউ অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি বা অন্য কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে কিনা। পেয়ে থাকলে আর আবাস যোজনার ঘর পাবে না।

সবার আগে দেখা হবে আবেদনকারীর নাম ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে নথিভুক্ত আছে কিনা। একশো দিনের কাজের জব কার্ড সঠিক নাকি ডুপলিকেট যাচাই করতে হবে, আর ভুল ধরা পড়লেই সাথে সাথে জব কার্ড ব্লক করে দিতে হবে।

নাম যাচাই করবে প্রতিটি গ্রামের আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, গ্রামীণ পুলিশ,ও গ্রাম পঞ্চয়েতের কর্মীরা।

প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি গ্রামে ৫ থেকে ১০ জনের দল তৈরি করে এই যাচাই এর সমীক্ষা চালাতে হবে।

লিস্টে নাম তোলার আগে দেখতে হবে পরিবারের কারও মাসিক আয় যেন দশ হাজার টাকার বেশি না হয়।

পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করলে এর লাভ পাবেন না।

আয়কর ও বৃত্তি কর পরিবারের কেউ দিয়ে থাকলে তাদেরও নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

যদি পরিবারের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলেও লিস্টে নাম তুলতে পারবে না।

যদি আবেদনকারীর যন্ত্র চালিত নৌকা, কৃষি সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ধরনের গাড়ি থেকে থাকে তাহলেও তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিতে হবে।

যদি আবেদনকারীর আড়াই একর বা তার বেশি কৃষিজমি থাকে, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত অকৃষি জমি থেকে,তাহলে তাঁরা কেউ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

যত আবেদন জমা পড়বে তার দুই শতাংশ জেলাশাসক নিজে যাচাই করবেন।

তিন শতাংশ ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে এবং ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিডিও অফিস থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে যাচাই করা হবে।

কোনও আবেদনকারী যদি মিথ্যা কোনো তথ্য দিয়ে আবেদন করে থাকেন বা তথ্য চেপে গিয়েছে এমন কোনো অভিযোগ এলে আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখবেন ও অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আবেদন বাতিল করা হবে।

আবার যদি অন্য কোনও কারণে কোনও প্রকৃত দাবিদাদের নাম বাদ পড়ে গেলে তাঁর নাম যাতে ফের অন্তর্ভুক্ত হয় তার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেই ওই নাম গ্রামসভা ডেকে অনুমোদন করাতে হবে।

Share This Article