মোদীর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ র স্বপ্নের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেই স্বপ্নকেই কার্যত খাটো করে দিচ্ছে রাজস্থানের জালোর জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক যেখানে নারী, সেখানে আজও নারীদের পিছিয়ে রাখার মানসিকতা যে কতটা গভীরে প্রোথিত, এই সিদ্ধান্ত সমাজে তারই এক উদাহরণ বহন করে।
সম্প্রতি রাজস্থানের জালোর জেলায় এক গ্রাম পঞ্চায়েত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, ক্যামেরা যুক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না মেয়ে ও মহিলারা। ক্যামেরা যুক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে দাঁবি করেন। রবিবার জালোরের গাজিপুর গ্রামে চৌধুরী সম্প্রদায়ের এক সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সুজনরাম চৌধুরী।
এদিন এই সভা থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলেন, মেয়ে ও মহিলারা সেলফি তোলা, ভিডিও রেকর্ডিং করা কিংবা জনসমক্ষে বা প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন না। তাঁদের কেবল পুরনো আমলের কিপ্যাড মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও পরিবারের কেঁউ বাড়ির বাইরে থাকে তারপরও ব্যবহার করতে পারবেন না ক্যামেরা যুক্ত স্মার্ট ফোন। এ ছাড়া স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের জন্য এ নিয়ম কিছুটা নমনীয়, তাঁরা কেবলমাত্র পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
নারীদের এভাবে সমাজ থেকে লিঙ্গবৈষম্য ও পিছিয়ে রাখাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন।
