পাইলট থেকে যাত্রী জেনে নিন আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় কারা ছিলেন বিমানে
আজ দুপুর একটা ৩৯ মিনিটে গুজরাটের আহমেদাবাদে দুপুরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইট নম্বর AI171, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের এই বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে। এয়ার ইন্ডিয়া বিমানটিতে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, ১ জন কানাডা ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
৬২৫ ফিট উঠার পর সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171
৬২৫ ফিট উচ্চতায় ওঠার পরই সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইট রাডার’-এর তথ্য অনুযায়ী, রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই AI171 ফ্লাইটটির সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে যায়। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিমানটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ছিলেন ২৩২ যাত্রী ও ১০ জন বিমানকর্মী
আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171 বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানে থাকা ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন বিমানকর্মীসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
এই মডেলের উড়োজাহাজের ধারণক্ষমতা ছিল ২৫৬ জন। বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, ১ জন কানাডা ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
৬২৫ ফুটেই থেমে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171
আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিপদ! মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেই হঠাৎ সিগন্যাল কাট হয় বিমানটির। তারপর শুরু হয় ধ্বংস প্রতি মিনিটে নিচে নামে ৪৭৫ ফুট হারে।
ফ্লাইট রাডার তথ্যমতে, উড্ডয়নের সময়েই বড়সড় যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়েছিল বিমানটি। ADS-B ডেটায় ধরা পড়েছে সেই ভয়ংকর মুহূর্তের স্পষ্ট চিত্র।
আরও পড়ুনঃ ২৪২ জন আরোহীসহ আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, প্রধানমন্ত্রী মোদীর শোকপ্রকাশ
উড়েই সংকেত দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কে এই AI171 ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন, তারপরই ভয়াবহ বিধস্ত…..
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, বিমানটির পাইলট “ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি (তিনি নতুন পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন) ছিলেন। তার ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কলাইভ কুন্দর (Clive Kundar) ছিলেন সেই ফ্লাইটের কো-পাইলট হিসেবে দায়িত্বে ।
তিনি বিমান চালানোর প্রশিক্ষণে ক্যাপ্টেন সাভারওয়ালের পরেই দায়িত্বে ছিলেন এবং তাঁর রয়েছে ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ।
দুপুর ১:৩৯-এ আহমেদাবাদ থেকে উড়ার কিছু সেকেন্ড পরেই ‘মায়ডে’ সংকেত পাঠান পাইলট সাফারওয়াল। মায়ডে সংকেত হচ্ছে – মানে কোন ধরনের বিপদ। এরপরই বিমানটির সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এরপর ভয়াবহ বিধস্তের খবর পাওয়া যায়।
বিমান বিধ্বস্তের ভাইরাল হওয়া কিছু স্থিরচিত্র —
বিজেএমসি আহমেদাবাদ মেডিকেল কলেজের বয়েস হোস্টেলের উপর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে বিমানটি
আরও পড়ুনঃ আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ২৫ জন আহত! জানা গেল নাম, বয়স, লিঙ্গ
ফটো আল জাজিরার উদ্ধারকাজে ব্যস্ত দমকল কর্মী সহ সাধারণ মানুষ।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমান এই প্রথমবার গুজরাটের আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ল
আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমান।
এই মডেল প্রায় ১৪ বছর ধরে চলছে, বোয়িং ৭৮৭ প্রথম আকাশে উড়ে ২০০৯ সালে। এবং এখন পর্যন্ত তিন কোটি ঘণ্টা উড়েছে। ছয় সপ্তাহ আগে বোয়িং জানিয়েছিল, এই মডেলের বিমান ১০০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।
দুর্ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন বোয়িং কোম্পানি আগের ৭৩৭ মডেলের বিভিন্ন দুর্ঘটনা নিয়ে সমালোচনায় ভুগছে।
বোয়িং জানায়, তারা ঘটনাটি নিয়ে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে এবং আরও তদন্ত করছে