India GST Reform 2025: নতুন জিএসটি চালু ২২ সেপ্টেম্বর, কোন জিনিস সস্তা কোনটা দামী? জানুন বিস্তারিত

Ealiash Rahaman
WhatsApp_Group
সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করুন

India GST Reform 2025: কর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনলো কেন্দ্রীয় সরকার।আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে নয়া কর এছাড়াও করের চাপ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Join WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বড় পরিবর্তন এনেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন জিএসটিতে চার টাইপের করহার চালু ছিল ৫%, ১২%, ১৮%, ২৮% । এবার সেই ব্যবস্থা সরল করে রাখা হলো মাত্র দুটি করহার ৫% আর ১৮%।

এর পাশাপাশি বিশেষ কিছু পণ্যে ৪০% কর আরোপ করা হবে জানায় । যেমন—দামী গাড়ি, তামাকজাত দ্রব্য, গুটখা-পানমশলা, সিগারেট, মাঝারি সিসির মোটরবাইক ইত্যাদি।

এছাড়াও এবার থেকে জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় আর কোনো কর (জিএসটি) দিতে হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।

সম্প্রতি বুধবার আয়োজিত ‘নয়াদিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম’ একটি শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।

নতুন করের নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ১৭৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সস্তা হবে। এর মধ্যে ক্যানসারের কয়েকটি ওষুধও রয়েছে।

দুধ, পনির, রুটি, মাখন, শ্যাম্পু, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, শেভিং ক্রিম এসব পণ্যে কর কমে এখন দিতে হবে ৫%। এছাড়া ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধে কোনো কর থাকবে না।

চিকিৎসায় ব্যবহৃত অনেক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ আগের তুলনায় সস্তা হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান । পাশাপাশি ছোট গাড়ি, বাইক, এসি, টিভি ও মোটর পার্টসের দামও কমবে। অন্যদিকে, কোল্ডড্রিঙ্ক, সিগারেট, গুটখা, পানমশলা, বিড়ির প্রাণনাশীর মতো পণ্যে কর বেড়ে হলো ৪০%।

সম্প্রতি আয়োজিত সভায় জানান সিমেন্টের উপর জিএসটি ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। এবং বাস, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স এবং তিন চাকার যানবাহনের উপর জিএসটি হার ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হয়েছে।
কৃষকদের চাষাবাদের সুবিধার্থে ১২টি জৈব কীটনাশক সারের‌ উপর থেকে কর ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে।


অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই নতুন করহার ( জিএসটি) চালু হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই জিএসটি সংস্কারকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতা দিবসে দেওয়া “দীপাবলির উপহার” ঘোষণার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকার দাবি করছে, এ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা আর্থিক স্বস্তি নিয়ে আসবে।