প্রবল মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ি এলাকায় টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধসের খবর এসেছে। গোরখাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি-মিরিক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, ধসে ভেঙে পড়েছে দুধিয়া সেতু। কালিম্পংয়ের ঋষিখোলা ও পেডং অঞ্চলেও রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় দার্জিলিংয়ে ২৬১ মিলিমিটার, এছাড়া কোচবিহার ১৯০ মিলিমিটার,,জলপাইগুড়ি ১৭২ মিলিমিটার, বাগডোগরা ১৩৪ মিলিমিটার পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা ও তোর্সা নদী। জলে ডুবেছে বহু এলাকা। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। এছাড়া বহু জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকেছে এবং তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।বাতিল করা হয়েছে তবে কিছু ট্রেন ভিন্ন রুটে চালানো হচ্ছে।

নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম, আর উত্তরের জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রাখতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এমন দুর্যোগ গত এক দশকে দেখা যায়নি টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢাল নেমে আসছে ঘরবাড়ির ওপর, নদীগুলোর জল হু হু করে বাড়ছে। পাহাড়ের বুকে এখন আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
