২১০০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে ভারত। ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা ১.৫৩ বিলিয়ন বা ১৫৩ কোটি পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালেই চিনকে (China) ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের স্থান করেন ভারত।
আগামী বছর ২০২৪ সালের এক রিপোর্টে প্রকাশ পায়, বর্তমান ভারতের জনসংখ্যা হবে প্রায় ১৪৫ কোটি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক উল্লেখিত প্রতিবেদন করেছে যেখানে বলা হয়, জাতিসংঘের এক অনুমান রিপোর্ট বলছে, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন। ভারতের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা থাকবে চীনে। অন্য বড় দেশগুলোর মধ্যে আছে নাইজেরিয়া (৫৪ কোটি), পাকিস্তান (৪৯ কোটি), কঙ্গো (৪৩ কোটি), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩৯ কোটি), ইথিওপিয়া (৩২ কোটি), ইন্দোনেশিয়া (৩০ কোটি), তানজানিয়া (২৫ কোটি) ও মিশর (২২ কোটি)।
জাতিসংঘ বলছে, যদিও বিশ্বের জনসংখ্যা এখনো বেড়েই চলেছে, তবে অতীতে যেরকম দ্রুত হারে বাড়ছিল সেরকম গতিতে নয়। কারণ নারীর সন্তান জন্মদানের হার কমে আসছে। এই হিসেবে ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রেখাচিত্র ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
বলাবাহুল্য যখন কোন দেশে জন্মহারের রেট ২.১ এর নীচে নেমে যায়, তখন সেই দেশের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। চীনের জনসংখ্যা এই প্রবণতায় ২১০০ সালের মধ্যে দাঁড়াবে মাত্র ৭৭১ মিলিয়ন বা ৭৭ কোটি ৭১ লাখ। এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের জায়গা নেবে ভারত জনসংখ্যা হবে ১৫৩ কোটি।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের শেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালে ভারতের মোট প্রজনন হার (TFR) ১.৯ শিশু প্রতি মহিলার হিসেবে নেমেছে, যা ২.১ এর নিচে। এই হিসেবে ২১০০ সালে জনসংখ্যা ভারতের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হলেও কত বেশি হবে এখনও পর্যন্ত অনুমান করতে পারছেনা।










