‘রাইমা, লিন্টু ভালো থাকিস, বাবার খেয়াল রাখিস, আমার কিছু করার নেই। সাধনা, দিপা, দিদিভাই, চামেলী সবাই আমার সন্তান-দের আগলে রেখো। আমার সংসার ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এবং আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন।’ এই সুইসাইড নোট লিখে রেখে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) তথা পার্শ্ব শিক্ষিকা রিঙ্কু তরফদার (৫১) ভাড়া বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।এসআইআর (SIR) এ চাপড়া-২ পঞ্চায়েতের ২০১ নম্বর বুথের BLO হিসেবে কাজ করছিলেন।
আজ সকালে সেই বুথ লেভেল অফিসারের দেহের পাশেই পাওয়া যায় সুইসাইড নোট যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন তিনি।
নোটে তিনি লেখেন,
অমানুষিক কাজের চাপ আর নিতে পারছি না। অফলাইনের কাজ ৯৫ শতাংশ করেছি, কিন্তু অনলাইনের কাজ জানি না। বহুবার বিডিও অফিসে জানিয়েও কোনও সহায়তা পাইনি। আমার মৃত্যুর জন্য পরিবার কোনওভাবেই দায়ী নয়।
পরিবারের দাবি, রিঙ্কু অনলাইন কাজ জানতেন না, অথচ বিডিও অফিসে বারবার সাহায্য চাইতে সাড়া মেলেনি। মৃতার স্বামী অসীম তরফদার বলেন,
এটা আত্মহত্যা নয়, কমিশনের অমানসিক চাপের ফলে মৃত্যু।
এর আগে জলপাইগুড়ির মালবাজারে শান্তিমুনি এক্কা নামে এক BLO এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেও পরিবারের অভিযোগ করেন অতিরিক্ত কাজের চাপ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স একাউন্টে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে । মমতা বলেন, এসআইআর-এর জন্য কত প্রাণ যাবে? দুদিন আগেই তিনি SIR কাজ স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেন।
এই ঘটনার পরপরই নদিয়ার জেলাশাসক তথা DEO র কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল।











