ভারতের আইটি কর্মীসহ লক্ষ লক্ষ স্বপ্নে বড় ধাক্কা।যারা কাজ নিয়ে আমেরিকায় অভিবাসী হতে চান, তাদের জন্য দুঃখের খবর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষর করলেন এক আলোচিত নির্বাহী আদেশে।
বিদেশি কর্মীদের জন্য জনপ্রিয় H-1B ভিসার ফি ব্যাপকভাবে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে আমেরিকায় কাজ করতে চাইলে কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর এক লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৮ লাখ রুপির বেশি) ফি দিতে হবে। তিন বছরের ভিসার ক্ষেত্রে এই অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় তিন লাখ ডলার। এইচ ওয়ান-বি (H-1B) ভিসা হলো- যারা উচ্চশিক্ষিত এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের জন্য আমেরিকাতে অভিবাসী হবার সুযোগ। তথ্য-প্রযুক্তি, কারিগরি, বায়ো-টেকনোলজি-সহ বিভিন্ন সেক্টরে অনেক ভারতীয় এই ভিসা নিয়ে আমেরিকায় থাকেন ও চাকরি করেন। এটিকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ভিসা ক্যাটাগরিও বলা হয়।
এই এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের জন্য এখন থেকে বছরে ১ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৮ লাখ রুপির বেশি) ফি ধার্য করার একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষত তথ্য প্রযুক্তি, টেকনোলজি সহ বিভিন্ন আইটি খাতে বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে আমেরিকা ভারত ও চীনের দক্ষ শ্রমিকদের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি।
প্রতিবছর আমেরিকায় যাওয়া ৮৫ হাজার এইচ-১বি ভিসার মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই ভারতীয় , বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকৌশল খাতে। টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রোসহ ভারতীয় আইটি জায়ান্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিপুল কর্মী পাঠিয়ে আসছে এই ভিসার মাধ্যমে। ফি বাড়ার ফলে তাদের ব্যয় বাড়বে এবং লাভ কমবে অনুমান করছে আইটি কোম্পানিগুলো।
ট্রাম্প জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এইজন্য যে এমন মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে আনা, যারা ‘বাস্তবিকভাবে অত্যন্ত দক্ষ’ এবং যারা আমেরিকান কর্মীদের বাজার দখল করবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক দরকার। আমাদের ভালো শ্রমিক দরকার, এবং এই পদক্ষেপ সেই বিষটিই নিশ্চিত করবে।’
এছাড়া ট্রাম্প জানান,“আমেরিকানদের প্রথমে সুযোগ দেওয়া হবে যার ফলে নিজ দেশের কর্মীরা সুযোগ পাবে, ফলে বিদেশি কর্মীর চাহিদা কমবে।’ ১৫ থেকে ২০ লক্ষ কর্মী কর্মসংস্থানের সুযোগ বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্থানের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।