2006 Mumbai train blast” ও “7/11 Mumbai bombing: ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় মুম্বই শহর এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী হয়। মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে শহরের সাতটি লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮৭ জন যাত্রী, আহত হন ৮০০ বেশি।
ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। কয়েক মাসের মধ্যেই তারা গ্রেফতার করে মোট ১৩ জনকে। অভিযোগ ওঠে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা ও Students Islamic Movement of India (SIMI) এর সদস্যরা এই হামলয় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করলেও ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ২০১৫ সালে বিশেষ মকোকা আদালতের বিচারকরা এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন, বাকি ৭ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আদালত রায় ঘোষণা করে এবং ১৩ জনের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্ত কামাল আহমেদ মহম্মদ ওয়াকিল আনসারি, মহম্মদ ফয়সাল আতাউর রহমান শেখ, এহতেশাম কুতুবুদ্দিন সিদ্দিকি, নাভিদ হুসেন খান রশিদ হুসেন খান এবং আসিফ খান বশির খান ওরফে জুনেদ ওরফে আবদুল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তানভির আহমেদ মহম্মদ ইব্রাহিম আনসারি, মহম্মদ মজিদ মহম্মদ শফি, শেখ মহম্মদ আলি আলম শেখ, মহম্মদ সাজিদ মারগুব আনসারি, মুজাম্মিল আতাউর রহমান শেখ, সুহাইল মেহমুদ শেখ এবং জামির আহমেদ লতিফুর রহমান শেখকে।
আবদুল ওয়াহিদ উদ্দিন মহাম্মদ শেখ ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বিশেষ আদালতে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন।
তবে রায়ের এক দশক পর, সোমবার বোম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় উল্টে দিয়ে জানায় তদন্তে উপস্থাপিত প্রমাণ ও সাক্ষ্য ‘অপর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’। যার ফলে নির্ভরযোগ্যভাবে বলা যায় না যে, অভিযুক্তরাই ওই অপরাধে জড়িত ছিলেন।
ফলে সোমবার, ২১ জুলাই আদালত নিম্ন আদালতের রায় বদলে দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত ১২ জনের সবাইকে খালাস দেয়।