নদিয়া জেলার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের দিনই প্রাণ গেল এক স্কুলছাত্রীর। ভোটগণনার ঠিক পরপরই বিজয় মিছিল চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ৯ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। নিহতের নাম তামান্না খাতুন, সে স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপনির্বাচনে জয় লাভের পর তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করলে সেখান থেকেই সিপিএম কর্মীদের বাড়ির দিকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। সেই সময় বাড়ি ফিরছিল তামান্না। হঠাৎই একটি বোমার আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়। এরপর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স -র এক টুইটের মাধ্যমে তিনি লিখেছেন,
“বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। পরিবারটির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। তাঁর মৃত্যুর পর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাঁর কন্যা আলিফা খাতুন প্রায় ২৮০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।কিন্তু তারই মাঝে ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি, সিপিএম-সহ বিরোধীরা তৃণমূলের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছে। তৃণমূলের নবনির্বাচিত প্রার্থী আলিফা খাতুনও ঘটনার নিন্দা করে বলেন,
“এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। দোষীরা যে দলেরই হোক, কঠিন শাস্তি হোক।”