ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে আপস না করে মেডিকেলের একটি আসন নিজেই ছেড়ে দিলেন কাশ্মীরের এক মুসলিম চিকিৎসক। বিষয়টি নিয়ে তিনি জাতীয় চিকিৎসা কমিশনের (NMC) কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তামিলনাড়ুর কোইম্বাটুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিফ্রোলজিতে ডক্টরেট (DrNB) কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির তরফে জানানো হয়, এখানে দাড়ি রাখা যাবে না।
চিকিৎসক জানান, তিনি মুখে মাস্ক পরে দাড়ি ঢাকার প্রস্তাব দিলেও হাসপাতাল তা মেনে নেয়নি। প্রতিষ্ঠানের যুক্তি ছিল সকল চিকিৎসকদের একই পোশাক ও জুতো পরতে হবে, দাড়ি রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এমবিবিএস, এমডি ও রেসিডেন্সি করার সময় কখনোই এমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। “কাউন্সেলিংয়ের সময় যদি জানানো হতো যে দাড়ি রাখা যাবে না, তাহলে আমি এই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতাম না,” বলেন অভিযোগকারী চিকিৎসক।
চিকিৎসকের মতে, দাড়ি রাখা একটি ধর্মীয় অধিকার, যা দেশের সংবিধানে উল্লেখিত। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি জাতীয় চিকিৎসা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় কাশ্মীরের এমপি আগা রুহুল্লাহ X-এ (আগে টুইটার) একটি পোস্টে করেন বলেন,
একজন কাশ্মীরি মুসলিম চিকিৎসককে তাঁর যোগ্যতার অভাবে নয়, বরং দাঁড়ির কারণে আসন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।