পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি টোটোকে অস্থায়ী এনরোলমেন্ট নম্বর দেওয়া হবে এবং গায়ে লাগানো হবে কিউআর কোডসহ বিশেষ স্টিকার। এই কোডের মাধ্যমে টোটোর মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশনের তথ্য যাচাই করা যাবে।
প্রসঙ্গত , এসব টোটো চালকের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। তাদের বেপরোয়ার কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব টোটোর কোন ফিটনেস ও রুট পারমিট নেই চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
টোটোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া হলে হয়তো শহরের আনাচে কানাচে এসব টোটোর দৌরাত্ম্য কমবে।
পরিবহন মন্ত্রী বলেন,
“প্রতিটি টোটো নির্দিষ্ট রুটে চলবে, এতে যেমন নিয়ম ফিরবে, তেমনি যাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।”
এইজন্য ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে টোটো চিহ্নিতকরণের কাজ। যেসব টোটো ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন না করবে ওই টোটো আর রাস্তায় চলতে পারবে না।
অনলাইনসহ সরকারি সহায়তা কেন্দ্র থেকেও করা যাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। প্রাথমিকভাবে ১,০০০ টাকা ফি দিতে হবে, পরবর্তীতে মাসে ১০০ টাকা করে বছরে ১,২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
এছাড়া, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো স্থানীয় কোম্পানি বা ভেন্ডার আর টোটো তৈরি বা বিক্রি করতে পারবে না।
মন্ত্রীর দাবি করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত টোটোকেই রাজ্যের নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা যাবে।